ডেস্ক রিপোর্ট : প্রকল্পের কেনাকাটায় টিমওয়ার্ক দুর্নীতি হয় এটা আমার ধারণা, তবে ব্যক্তিগত দুর্নীতি বেশি হয়। তবে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের জনগণের যে স্বচ্ছ ধারণা এটাকে কেউ প্রশ্রয় দেবে না। আমি বিশ্বাস করি আমাদের চারপাশে সবাই দুর্নীতি এড়িয়ে চলেন। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতি করে প্রমাণিত হলে আমরা আইনিভাবে মোকাবিলা করবো। দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়বো বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান । মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদনের খসড়া রূপরেখা চূড়ান্তকরণ’ কর্মশালা মন্ত্রী এ কথা বলেন।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একটা বিষয় বলতে চাই না তবুও বলতে হয়। যেখানে যায় সাধারণ মানুষ প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চায়। পকেট মার ও দুর্নীতি একটি ক্রিমিনাল বিষয়। এটা নিয়ে ডিসকাস করা সেমিনার করার কোনো মানে হয় না। আমি যে টকশোতে যাই যে সেমিনারে যাই, সেখানে ঘুরে ফিরে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। আমি তাদের বলি দুর্নীতি নিয়ে গবেষণার কিছু নাই, ডিসকাস করারও কিছু নাই। কিছু খাতে দুর্নীতি হচ্ছে অবশ্যই হচ্ছে। তাদের কাছে দুর্নীতি করার ব্যবস্থাও আছে। দুর্নীতির নিশ্চয় একটা ভিত্তি আছে তা না হলে এটা নিয়ে এতো আলোচনা কেন হবে। দুর্নীতি নিয়ে আমাদের সবাইকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, মানুষ আশা করে আপনাদের কাছ থেকে ভালো আউটপুট। মানুষ মনে করে যে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় একটা টেকনিক্যাল মন্ত্রণালয়। এখানে সব অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা আছেন। তারা নিশ্চয় ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) ভালো করে তৈরি করে দিয়েছে। মন্ত্রী নিয়ে তারা কনসার্ন নয়, কারণ মন্ত্রী আসে যায়। আপনারা তো স্থায়ী সিভিল সার্ভেন্টস। আপনারা ২০ বছর, ২৫ বছর কাজ করে এখানে এসেছেন।
তিনি আরো বলেন, সব থেকে বড় কথা যেটা আমি বলতে চাই না, আই ফিল আনইজি। কিন্তু বলতে বাধ্য হই। যেখানেই যাই, যে আলোচনায় যাই, দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করে। আমি বিরক্ত হই। দুর্নীতি তো কোনো প্রশ্নের বিষয় নয়। এটা একটা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। পকেটমার একটা ক্রিমিনাল বিষয়। এটা নিয়ে আলোচনা করা, সেমিনার করার কোনো অর্থ হয় না। পকেটমার কী, আমরা বুঝি-জানি। তিনি এও বলেন, আমার মন্ত্রণালয় নিয়ে যখন প্রশ্ন করে তখন আমি বলি আমি তো বাস্তবায়ন করি না রে ভাই। তখন অনেকে বলে আরে মান্নান সাহেব আপনি কি জানেন দুর্নীতি আপনিই তো বাড়িয়ে দেন। যাক দুর্নীতি নিয়ে একটা আলো আঁধারি বিষয় আছে। সচেতন থেকে দুর্নীতি এড়িয়ে চলতে হবে।কর্মশালায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, মহাপরিচালক, নির্বাহী পরিচালক, যুগ্ম প্রধান, উপ-প্রধান, উপ-সচিব পর্যায়ের মোট ৫৮ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » নার্সিং কোর্স পরিচালনায় মেডিকেল টেকনোলজি বোর্ড গঠনের দাবি
- » রোহিঙ্গা হিসেবে কোনো বাংলাদেশি সৌদিতে গিয়ে থাকলে পাসপোর্ট দেব : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- » ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়-ঝাঁপ আ’লীগের ৩ বিএনপি একক
- » মোংলা পোর্ট পৌরসভায় মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ আব্দুর রহমান
- » বাগেরহাট পৌর নির্বাচনে মোট ৩৬ জনের মনোনায়ন পত্র জমা
- » বাগেরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মনোনায়ন পত্র জমা দিলেন তালুকদার রিনা সুলতানা
- » ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার উপর আস্থারই বহিঃপ্রকাশ
- » কুষ্টিয়ার ৪টি পৌরসভায় ৩টিতে নৌকা, ১টিতে মশাল বিজয়ী
- » শৈলকুপা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী
- » সাভার পৌরসভার মেয়র পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত আওয়ামীলীগ প্রার্থী