মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর : ব্রাহ্মণবাড়িয়া,জেলার নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট ও পার্শ্ববর্তী গোয়ালনগর ইউনিয়নের লঙ্গন নদীর উপর দিয়ে প্রায় ৭ কিঃমিঃ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষার পানি বৃদ্ধির কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি পানির নিচে চলে যাওয়ায় নৌযান চলাচল নিয়ে আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবি, নৌ পথের যোগাযোগ ঝুঁকিমুক্ত রাখতে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভলাকুট ও গোয়ালনগরের কিছু এলাকার নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের জন্য লঙ্গন নদীর উপর দিয়ে ২০১৫ সালে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন দেওয়া হয়। ২ হাজার ৮শ’ গ্রাহকের জন্য এসব লাইনে বসানো হয়েছে ৭৫ টি ট্রান্সফরমার। গোয়ালনগর ও ভলাকুট ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের প্রত্যেকটি খুঁটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫ ফুট। বর্ষার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি খুঁটি ৩৫ ফুট পানির নীচে চলে গেছে। এতে নৌযান চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া, প্রায় সময়ই ঝড়বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে তার ছিঁড়ে নদীর পানিতে পড়ে থাকে। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পানি আর ভারী বর্ষণে উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে হাওরবেষ্টিত ভলাকুট ও গোয়ালনগর ইউনিয়নের চারদিকে শুধু পানি আর পানি। বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিরাপদ রাখতে গত ২১ জুলাই অস্থায়ীভাবে বাঁশ দিয়ে টাওয়ার তৈরি করে নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন। গোয়ালনগর ও ভলাকুট গ্রামের স্থানীয়রা বলেন,যেখানে শক্তিশালী বৈদ্যুতিক খুঁটিই পানির চাপ নিতে পারে না সেখানে বাঁশের খুঁটি দিয়ে টাওয়ার তৈরি করে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন ঝুঁকিমুক্ত রাখাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত । বিষয়টিকে অধিক গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্থায়ী সমাধান করার দাবি জানায় স্থানীয়রা। চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আহাদ ও গোয়ালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজহারুল হক বলেন, ভৌগলিক কারনে দুই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা নৌকা। নদীর উপর বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুঁটির দূরত্ব বেশি হওয়ায় বিপদজনকভাবে নিচু অবস্থায় সঞ্চালন লাইন ঝুলে আছে, কিন্তু বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হচ্ছে হাওর পাড়ের ওই বাসিন্দাদের। নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আবুল বাসার সামছুদ্দিন আহাম্মদ বলেন, বর্ষার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমরা গোয়ালনগরের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বন্ধ রাখতাম। কিন্তু ঈদ ও প্রচন্ড গরমের কথা চিন্তা করে সন্ধ্যার পর লাইন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।বর্ষা শেষ হলে ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » কেশবপুরে সমবার্তা অনলাইন নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন
- » বাগেরহোটে রেডিও সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ
- » বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাবেন, নাকি নিচ দিয়ে : তথ্যমন্ত্রী
- » অলি আহমের এক সাক্ষাৎকার প্রচারের ঘটনায় সাংবাদিক কনক সরওয়ারের ইউটিউব কনটেন্ট বন্ধের নির্দেশ
- » ৩৭১টি ফেসবুক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
- » পাইকগাছায় পর্ণগ্রাফি মামলায় যুবক গ্রেপ্তার।
- » ১১ ডিসেম্বর বসবে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০’ এর সপ্তম আসর।
- » ট্রাম্প জুনিয়রকে নিষিদ্ধ করল টুইটার
- » জয় আইসিটি বিপ্লবের স্থপতি, কোটি তরুণের স্বপ্নসারথি: কাদের
- » ‘বাংলাদেশের আইসিটি বিপ্লবের স্থপতি সজিব ওয়াজেদ জয়’