জহুরুল হক মিলু , লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় আমন ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কৃষকরা ইতি মধ্যেই আমন চাষের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে। প্রাথমিক ভাবে কৃষকরা আমনের জমিতে আইল বাঁধা আইলের সাইড কেটে জমিকে আমন চাষের উপযোগী করে চলছে। যে সব জমিতে পাট আছে সে জমির পাট কেটে প্রস্তুত করছেন। সেই লক্ষ্যে কৃষক আমনের চারা রোপন করা নিয়ে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে এখন। কৃষকরা কয়দিন আগেই আমন চারা জমিতে রোপন শুরু করেছে। কৃষকরা জানান উপজেলায় বন্যা সহ প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না থাকায় এবার আগে ভাগেই শুরু হয়েছে আমন চারা রোপন। মরিচ পাশা মাঠে আমন চারা লাগানো কৃষক মোঃ রিপন সরদার জানায়, এক মাস আগে আমন ধান বীজ তলায় ছিটানো হয়। এই বীজের চারা যখন প্রায় এক ফুট উচ্চতা হয়, তখন সেই চারা তুলে পুনরায় অন্য জমিতে রোপন করা হয়। দোগছির উপকারিতা কি জানতে চাইলে মরিচ পাশা গ্রামের কৃষক তুহিন, মিন্টু, তাহের ও নাজির বলেন, দোগছি করলে চারার দন্ড মোটা হয়, ৮/১০টি চারা থেকে কমপক্ষে ৪০/৫০ টি গাছ গজায় এবং দোগছির চারা জমিতে রোপন করলে চারা সাশ্রয় ও চারার গোঁজ মোটা হয়। ধানের শীষ লম্বা হয়, পোকার আক্রমন সহ ধান গাছে নানা বিধ রোগ বালাই দেখা না দিলে দোগছি ধানের ফলনও ভাল পাওয়া যায় বলে তারা জানান। লোহাগড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সমরেন বিশ^স জানান, এবার উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১০হাজার ৩৫০ হেঃ জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসাবে উপজেলায় প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমিতে আমন বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » কেশবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহি খেজুরের রস ও গুড়
- » কেশবপুরে শুরু হয়েছে বোরো আবাদের প্রস্তুতি : হালের মই টানছে মানুষে
- » ঝিনাইদহে ‘ভরসার নতুন জানালা’ উদ্যোক্তা কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- » কৃষি পন্য বহনে চালু হচ্ছে রেলওয়ে সংযোজনে অত্যাধুনিক নতুন লাগেজ ভ্যান
- » বকশীগন্জ মেরুরচর ইউনিয়নে যত্ন প্রকল্পের নগদ অর্থ পবিতরন
- » কেশবপুরে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
- » কুষ্টিয়ার গ্রামবাংলার চাষীরা কনকনে শীতে খেজুর রস ও সুস্বাদু পিঠা উৎসবে ব্যাস্ত
- » ঝিনাইদহে হলুদ সরিষা ফুলের সুবাসে শিশুরা, আর মৌমাছির গুনগুন শব্দে মুখোরিত মাঠ
- » ইটের ভাটাতে পানি যাওয়ায় গুলি বর্ষণ বাড়ি ভাংচুর ও কৃষকের স্ত্রী ,ছেলে আহত
- » ডুমুরিয়ায় ৮’শ ফলন্ত সবজি গাছ কেটে দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি