এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:যশোরের কেশবপুর উপজেলার বাগদহা গ্রামের উদ্যামি যুবক এখলাছুর রহমান কনক বাড়ির আঙ্গিনায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে অল্প জায়গায় অধিক মাছ চাষে সাফল্য পেয়েছে । যার ফলে সে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে নিজেকে স্বাবলম্বি করার স্বপ্ন দেখছে । উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সজিব সাহা ও মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ওই যুবকের বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের খামার পরিদর্শন করেছেন। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চলতি বছর এপ্রিল মাসে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য তার বাড়ির আঙ্গিনায় ২ টি খাঁচা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। মে মাসে খাঁচায় মাছ ছেড়েছেন। জানা গেছে, বায়োফ্লক পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি প্রথমবারের মতো ২ শতক জমির উপর ১০ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতা স¤পন্ন ২টি খাঁচা বানিয়ে ৪ কেজি মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়েন। পোনা ছেড়ে বাজারজাত করা পর্যন্ত সময় লাগে ৯০ থেকে ১০০ দিন। প্রথম চালানে লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। প্রথম বার খাচা তৈরি, মাছ ছাড়া, মাছের খাদ্য এবং প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিলের খরচের দুই তৃতীয়াংশ উঠে আসবে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু হওয়ায় কনক এই প্রযুক্তিতে মাছ চাষ করে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি বানিজ্যিকভাবে দেশি মাছের চাষ শুরু করেন। তার উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে এলাকার অনেক বেকার যুবক বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। গত ৮ এপ্রিল ৩ ফুট উঁচু ও ১৩ ফুট গোলাকৃতির খাঁচা তৈরি করেন। খাঁচাগুলো ওয়াটার প্রুফ ত্রিপল দিয়ে ঘিরে দেন। ১টা খাঁচা তৈরি করতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। একটি খাঁচায় সর্বোচ্চ ৫ হাজার শিং, কৈ, তেলাপিয়া, মাগুর ও পাবদা মাছের পোনা চাষ করা যায়। যা বাজারজাতের সময় প্রায় ২০ মন মাছপাওয়া যাবে। একটি খাঁচায় বছরে ৩ বার মাছ চাষ করা সম্ভব। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে স¤পূর্ণ নতুন এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে তিনি এখন এলাকায় মানুষের নিকট হয়ে উঠেছেন অনুকরণীয়। বাড়ির উঠানে করা এই মাছের আধুনিক খামার তার ভাগ্য ফিরবে বলে তিনি আশা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সজিব সাহা বলেন, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছের জন্য ঐ যুবকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হবে। আমরা আশাকরছি ওই যুবক এ চাষে সফল হবেন।
কেশবপুরে করোনার মধ্যেও থেমে নেই বাল্যবিবাহ
এম. আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:শোরের কেশবপুরে করোনার মধ্যেও থেমে নেই বাল্যবিবাহ। পাশের উপজেলা কলারোয়া থেকে কেশবপুরে দত্তনগর গ্রামের অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি ছেলে বাল্যবিবাহ করে নিজ বাড়িতে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেলেন সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ইরুফা সুলতানা। এ সময় তিনি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাবলে বাল্য বিবাহের অপরাধে ছেলের পরিবারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা ও ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে পৃথক থাকতে বলা হয়। এ বিষয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ইরুফা সুলতানা বলেন, উপজেলার দত্তনগর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ইকবল হোসেন (১৮) সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা খাতুন (১৪)-কে বিয়ে করে। ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত দু’জনই পৃথক থাকবে এ মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেলের পরিবারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় গাড়ি ভাড়া করে মেয়েকে তার বাপের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ফরিদপুরে লাউ কেটে ক্রিকেট খেলা কৃষকের মাথায় হাত
- » লোহাগড়ায় টমেটোর বাম্পার ফলন লাভবান কৃষকরা
- » ডুমুরিয়ায় অবৈধ বালু বেডের লবনাক্ত পানিতে হুমকির মুখে বোরো আবাদ
- » তেঁতুলিয়ায় কৃষকলীগের নব-নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
- » বাগেরহাটে অর্গানিক পদ্ধতিতে সজ্বী চাষের উদ্বোধন
- » কেশবপুরে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহি খেজুরের রস ও গুড়
- » কেশবপুরে শুরু হয়েছে বোরো আবাদের প্রস্তুতি : হালের মই টানছে মানুষে
- » ঝিনাইদহে ‘ভরসার নতুন জানালা’ উদ্যোক্তা কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- » কৃষি পন্য বহনে চালু হচ্ছে রেলওয়ে সংযোজনে অত্যাধুনিক নতুন লাগেজ ভ্যান
- » বকশীগন্জ মেরুরচর ইউনিয়নে যত্ন প্রকল্পের নগদ অর্থ পবিতরন