ডেস্ক রিপোর্ট : আমার বাবার জীবনী কিছু কথা নিচে লিখলাম। সময় পেলে পড়বেন ও বাবার জন্য দোয়া করবেন। আমি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের মৃত মাহতাব উদ্দীনের ছেলে মোহম্মদ মেহেদী হাসান ফিরোজ।
পেশাঃমোবারকগঞ্জ সুগার মিলের কর্মচারী ও গণমাধম্য (সাংবাদিক) কর্মি।
আমার বাবার জন্য দোয়া চাচ্ছি সবার নিকট ।
আমার প্রান প্রিয় ছিল আমাকে একা রেখে দুনিয়াতে ছেড়ে অকালে বিদায় নিয়েছিল প্রায় গত ৮ বছর আগে (১১-১২-২০১২ইংঃ সালে)
আজ বদলে গেছে জীবন আমার , তাই বদলিয়েছি আমি।আগে যখন মাথায় উপর বাবা নামের বটের ছায়া ছিল, তখন মনে হত হয়তোবা সারাজীবন সেই ছায়া থাকবে। নিয়তি ও নিয়ম ধরে রাখা যায়না চিরকাল সেটা এখন বুঝি। আজ ৮ বছর আগে আমাকে,মা ও বোনদের দুনিয়াতে রেখে বাবা নামের সেই মানুষ (বটগাছ), পৃথীবির সবমায়া ত্যাগ করে চলে গেছে আমাদের ছেড়ে দুনিয়া থেকে।
গত ১১-১২-২০১২ সালে আমার প্রানপ্রিয় বাবা মাহতাব উদ্দীন মৃত্যুবরণ করে, ইহকালের মায়া ত্যাগকরে পরকালের বন্ধু হয়। তাই আর বাবার ভালবাসার ছায়া পায়নি গত ৮ বছর। জানি আমি পাব না আর জীবনে বাবাকে দুনিয়াতে কোন দিন। তবুও প্রতিটা সময় ও প্রতিটা দিন মনে পড়ে আমার সেই ফেরেস্তার মত বাবাকে। বাবা ছিলেন আমাদের এলাকায় একটি পরিচিত মানুষ। মিষ্টিভাষী ছিল,সবার সাথে হাসি মুখে আলাপ ব্যবহার করতেন। মানুষের বিভিন্ন ভাবে বিপদে আপদে সহযোগিতা করতেন।কোন প্রয়োজনে আমার বাবার কাছে কেহ আসলে, প্রয়োজনটি শুনে বা বুঝে তাদের পরার্মশ দিত।
প্রয়োজনে সাথে থেকে কাজ করে দেওয়ার চেষ্টা করতেন।
সে জন্য দেখতাম প্রতিদিন আমাদের বাসায় বা বাবার অফিসে অনেক মানুষেরা আসতো। যতদিন বাবা পৃথীবিতে বেঁচে ছিলেন সমাজের সম্মানিব্যাক্তি হিসাবে। বাবা চাকুরি করতেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প মন্ত্রালয়ের অধীনে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলস্ লিঃ, কারখানার পাওয়ার টারবাইনের ফোরম্যান পদে। ছিলেন মোচিক শ্রমিক কর্রচারি ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সুনামধন্য মেম্বর ও দুলাল মুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একজন সুনামধন্য সভাপতি।
আজ বাবার কথা প্রতিদিন অনেক মানুষে বলে খুব ভাল ব্যাক্তি ছিলেন তোমার বাবা।
এই কথা গুলো আজ একা বসে লিখতেছি বাবার সেই বাড়িতে বসে, যেখানে বাবা বসে থাকতেন। সেই চেয়ারের পাশে বসে।
বাবা নেই আজ, কিন্তুু আছে বাবা থাকা জীবনের গল্প । বাবা যে অফিসের ফোরম্যান ছিলেন, আমিও সেই অফিসের, সেই দপ্তরে চাকুরি করতেছি। এই চাকুরিটা ও সাংবাদিকতা বাবার অবদানে আছে সবচেয়ে বেশি। আমরা ছয়(৬)ভাই বোন। পাঁচ বোনের ও বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে ও ভাই আমি। বোনদের বাবা নিজে দেখে বুঝে বিয়ে দিয়েছিলেন। বর্তমানে বোন, দুলাভাই ও তাদের সন্তানেরা ভাল আছে। যতটুকু খারাপ থাকে তখন ওরা আমাকে বলে বাবা বেঁচে থাকলে নাকি সব ভাল বা ঠিক হয়ে যেত। আমার বাবা নামের মানুষটা আজ নেই,আছে সব সময় তার কথা। এই কথা গুলো লিখতে বড় কষ্ট লাগছে,পরাণটা ফেটে যাচ্ছে। তবুও ভাবছি মানু্ষ চিরকাল কেহ দুনিয়াতে বেঁচে থাকবে না, সেটা ভেবে নিজের মনকে বুঝাচ্ছি। আমি কাঁদতে পারি না, কিন্তু বাবা কথা মনে পড়ে সবসময়, চোখে পানি টলমল করে, বুকটার ভিতর জ্বালা করে তবুও সেটা কাওকে বুঝতে দিতে চায়না।
একজন প্রশ্ন করলো কি লিখতেছো?
আমি উত্তর দিলাম বাবার কথা খুব মনে পড়ছে, সেজন্য তার স্বরণে কিছু কথা লিখতেছি ও সবার কাছে বাবার জন্য দোয়া কামনা করছি।দোয়া করবেন মহান আল্লাহ আমার আব্বাকে জান্নাতুল ফেরদাউস্ দান করুন।
তখন প্রশ্ন করা লোকটি বলছে তোমার বাবা খুব ভাল মানু্ষ ছিলেন। তার কথা আমি স্বরণ করি আর মনেরে বলি ভাল মানুষেরা পৃথীবিতে মনে হয় বেশিদিন বেঁচে থাকেনা। আজ বাবার নাম অনেকে বলে তোমার বাবার মত হও, তার মত করে চলাচল কর,তাকে স্বরণ করে কাজ কর দেখবে তুমিও ভাল থাকবে। কিন্তু বাবার কাছে আমি ছিলাম তার আদরের ধন, আমি যদি কোন ভুল বা খারাপ কিছু করতাম তাহলে সে শুনলে প্রথমে বকা দিতো আর বলতো কোনটা ঠিক আর ঠিক না। আমি যদি বাবার বকা শুনে মুখটা গোমড়া করে থাকতাম বলতো মনি ভাল বলছি হয়তোবা সেটা শুনে তোমার কষ্ট লেগেছে, কিন্তু আমি যেটা বলি বা যা কিছুই করছি সব তুমি ও তোমাদের মঙ্গলের জন্য বলছি বা করছি। খাবারের সময় হলে মনি বলে ডাকতো, তখন আমার সব বিথা রাগ অভিমান হারিয়ে যেত বাবার কথা শুনে।আজ বাবা নেই, আছে বাবা ও আমার চলার জীবনের মনে থাকা কথা।
বাবা তুমি বড় ভাল ছিলে, তুমি ছিলে দুনিয়াতে বেঁচে যতদিন খুব ভাল ছিলাম আমি ও আমরা সবাই ।
তুমি নেই তাই এখন চলি বড় একা হয়ে। আজ মায়ের মুখের হাসি আর দেখিনা কতদিন, যতদিন তুমি নেই তার পাশে।আজকে তোমার কাছে তোমার স্বরণে লেখতে বড় ইচ্ছা করছিলো।কিন্তু বাবা তোমার জীবনী আমি যতটুকু জানি বা মনে আছে তা লিখতে গেলে মনে হয় একটি বছর লাগবে,তাও শেষ হবে না। মায়ের চোখের দিখে যখন আমি তাকায় দেখি চোখটি পানিতে সবসময় টলমল করছে ও চোখের নিচে কালো দাগের আবরন পড়ে গেছে। মা তোমার কষ্ট বুঝি আমি, কিন্তু তোমার কষ্টের ভাগ আমি নিতে পারবো না বলে শুধু দেখি। বলতে চাই আমি যতটা বাবাকে মিস্ করি তার চেয়ে হাজার গুন বেশি তুমি আমার প্রানের বাবাকে মিস্ কর। তাই আজ বাবা নেই, আমিও ভাল নেই খুব বেশি সুখি জীবন গড়তে পারছি না তোমার মত অবিভাবক বাবা নেই বলে। আমার বাবার উদ্দেশ্য আজ আমি যা লিখে জানালাম, আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি বাবার জন্য দোয়া করবেন। মহান আল্লাহ আমার বাবা জান্নাতবাসী করুন। আমিন। আর যারা বাবার বন্ধু ছিলেন, বাবা যদি বেচে থাকা জীবনে চলার পকোন ভুল বা অন্যায় করেন আমি তার একমাত্র ছেলে হিসাবে অনুরোধ করছি মনথেকে মাফ করে দিবেন।
সাথে সাথে আমি, মা, বোন, দুলাভাই, ভাগ্নে ভাগ্নি ও আমাদের সকল আত্বীয়দের জন্য দোয়া কামনা করছি আপনাদের কাছে। দোয়াকরি আল্লাহ আপনাদের ভাল ও সুস্থাতা রাখুন ।আমার লেখার ভিতর কোন ভুল হলে সেটা মার্জনীয় ক্ষমা করবেন।
খোদা হাফেজ।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » ডুমুরিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় গৃহবধূ আহত
- » বিরল উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর শীত বস্ত্র বিতরণ
- » সাগরদাঁড়ীতে মধুমেলা উদযাপন উপলক্ষে যশোরে প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত
- » সাংবাদিক-মুক্তিযেদ্ধা আবু সাঈদ খানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- » কুষ্টিয়া ছাত্র কল্যাণ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
- » কালীগঞ্জ ইমারত শ্রমিকদের ভোট অনুষ্ঠিত
- » কালীগঞ্জে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মসজিদ উন্নয়নের টাকা জমিদানকারীর হাতেই তুলে দেয়া হলো
- » মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ৫৬ দফা ইশতিহার ঘোষণা
- » ষাটগম্বুজের ঘোড়া দীঘিতে ৫২টি সুন্ধি কচ্ছপ অবমুক্ত
- » ঝিনাইদহে ‘ভরসার নতুন জানালা’ উদ্যোক্তা কৃষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত