স্টাফ রির্পোটার: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ জীরন চন্দ্র দাসের বিরোদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। জানা গেছে তিনি নাসিরনগর হাসপাতালে যোগ দানের পর গড়ে তুলেন একটি দালাল চক্র। এ চক্রের মাঝে রয়েছে বেশ কয়েক জন দালালের নাম। দালালরা রাস্তা থেকে রোগী ধরে ৪০০ টাকা ভিজিট নিয়ে অফিস সময়ে বাসায় ও ক্লিনিকে প্রেরণ করে।জানা গেছে অফিস চলাকালীন সময়ে সরকারী ডিউটি বাদ দিয়ে ডাঃ জীবন চন্দ্র দাস তার বাসার ভেতরে ও প্রাইভেট ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ১৭ মে ২০২০ ধরমন্ডল গ্রামের রোগী শারমিন আক্তারকে সকাল ১০ ঘটিকার সময় বন্ধন ডাযাগনস্টিক সেন্টারের ভেতরেও পরে ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামের মিষ্টার মিয়াকে সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় দালালের মাধ্যমে ৪০০ টাকার ভিজিটের বিনিময়ে তার নিজ বাসার ভেতরে চিকিৎসা করতে গিয়ে ধরা পরে সাংবাদিক আব্দুল হান্নানের হাতে।২৩ মে ২০২০ রোজ শনিবার রাত ১০ ঘটিকার সময় উক্ত সাংবাদিক আব্দুল হান্নান হার্ট এ্যাটাক করলে তার স্বজনরা সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত নতুন যোগদানকৃত ডাঃ তানবির আনসারী রকি এ সময় সাংবাদিকের কি চিকিৎসা করতে হবে কিছু বুঝতে না পেরে বিজ্ঞ হিসেবে ডাঃ জীবণ চন্দ্র দাসকে ডেকে নিয়ে আসলে তিনি তখন ওই সাংবাদিক তার বিরোদ্ধে রিপোর্ট সংগ্রহের আক্রোশের বশীভূত হয়ে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে কোন রূপ পরামর্শ ছাড়াই পযার্প্ত প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে ও জেলা সদরে প্রেরণ না করে ঢাকা সিসিইউতে প্রেরনের নির্দেশ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসককে। উল্লেখ্য, সে দায়িত্বে না থেকে তার প্রতিষ্টান প্রধানের সাথে পরামর্শ না করে তিনি কর্তব্যরত চিকিৎসককে এমন পরামর্শ দেয়া সঠিক কি না জাতি জানতে চায়।পরবর্তীতে অন্য লোকের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায় দৌড়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে একজন কার্ডিওলজি ডাক্তারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে হাসপাতালেরএ্যাম্বুলেন্স যোগে ব্রাক্ষণবাড়িয়া দি ল্যাব এইড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইড হাসপাতালে প্রেরণ করেন। যার প্রত্যক্ষদর্শী ওই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেই। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে ডাঃ জীবন চন্দ্র দাসের কাছে জানতে চাইলে অফিস সময়ে তিনি কোন রোগী দেখেননি বলে জানান। এ সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন তিনি। ডাঃ জীবন চন্দ্র দাস আরো বলেন আমরা হার্টের সম্পর্কে তেমন জানি না। ডাঃ রকি আমার জুনিয়র। তাই তাকে সিসিওতে পাঠানোর জন্য ডাক্তার রকিকে পরামর্শ দেই। জানা গেছে ডাক্তার জীবণ চন্দ্র দাসের এরূপ বিভিন্ন অনিয়মের কারনে পূর্বেও তার বিরুদ্ধে পর পর ২/৩ রাব কর্তৃপক্ষ তাকে সোকজ করে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্র্ম্কতা ডাঃ অভিজিৎ রায় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তারা বিষয়টি গভীরভাবে তলিয়ে দেখবেন বলে জানান।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » মোংলা পোর্ট পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএম, কঠোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী
- » নাসিরনগর গোয়ালনগরে মোটর সাইকেল চালকদের কাছে অসহায় এলাকাবাসী
- » জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারালো চাচা ভাতিজা
- » কালীগঞ্জে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে জনগনের অকল্যাণ করে রাতারাতি উধাও ”জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন
- » সরকারি নির্দেশনা মানছে না কালীগঞ্জ ডক্টর’স প্রাইভেট হাসপাতাল অজ্ঞান ডাক্তার ছাড়াই চলছে অপারেশন
- » কুষ্টিয়াসহ বন্ধ ঘোষিত ৬টি চিনিকল চালুর দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ
- » রামগঞ্জ পৌরসভায় স্থানীয়দের মাঝে কৌতূহল চলছে পরিবার কেন্দ্রীক নির্বাচনী লড়াই!!
- » কলাপাড়া পৌর নির্বাচন-২০২১ তৃণমূলের ভোটের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ
- » কালিয়ায় ভেস্তে গেছে কর্মসৃজন প্রকল্প, তালিকাভুক্ত শ্রমিকের বদলে মাটি কেটেছে শিশুরাও
- » আশাশুনির বড়দলে সাড়ে ৩ একর খাস জমি অবৈধ দখলমুক্ত