ভান্ডারিয়া প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় সুপার সাইক্লোন আম্ফানে প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্তসহ বিভিন্ন স্তরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাত পৌঁনে টার দিকে ভা-ারিয়ায় ঝড়ের তান্ডব শুরু হয় । ধীরে ধীরে বাতাশের তীব্রতা বাড়তে থাকে ঝড় এবং জলোচ্ছাসে উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়। বঙ্গোবসাগরের শাখা কচাঁ ও পোনা নদীতে পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ৫/৬ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় নিন্মঞ্চল প্লাবিত হয়। এ ছাড়া পানির তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে ভা-ারিয়া বাজারের শহর রক্ষা বাঁধ অতিক্রম করে বাজারে পানি ঢুকে পড়ে। বাজারে প্রায় ২/৩ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, আবাসিক বাসা বাড়ি প্লাবিত হওয়ায় ব্যবসায়ীরে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ভোর রাত পর্যন্ত বাতাশের গতিবেঘ তীব্র থাকায় শত শত গাছ পালা উপড়ে পড়ে। সরেজসিনে পৌরশহরের লক্ষিপুরা মহল্লার মাকসুদা বেগমের বাড়ীসহ দুই শতাধিক বাড়ী বিধ্বস্ত হয়। জলোচ্ছাসে বেশ কয়েকটি মাছের ঘের পানিতে ভেসে যায়। এছাড়া পানির তীব্র শ্রোতে কয়েকটি সড়ক, উপজেলার ধাওয়া , তেলিখালি , গৌরীপুর,ভিটাবাড়িয়া, ইকড়ি ইউনিয়নের অনেক স্থানের রাস্তা,বেড়ীবাঁধ ধ্বসে গেছে এবং পানের বরজ সবজির খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ২৪ঘন্টা বিদ্যুৎবিহীন ছিল উপজেলা বাসি।
উপজেলা দুর্যোগ কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আওলাদ হোসেন জানান, ঘুর্ণিঝড় আম্ফানে উপজেলার ৫৩টি সাইক্লোন সেল্টারের মধ্যে নদী তীরবর্তী এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ৫০হাজার ২৯০জন মানুষ আশ্রয় গ্রহন করেছে। তাদের রাতে খিচুরী,চিড়া,গুর,মোমবাতি,পানি সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান,ঝড়ে ১৮০টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ধাওয়া,তেলিখালীতে ২টি বাঁধ, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১২০টি গভীর নলকূপ, স্বাস্থ্য সম্মত ৩০০টি লেট্রিন,১৩ কি.মি গ্রামীণ ও ইউপি সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া, কৃষি ও বনজে ৬০লাখ,খামারে ২৭লাখ এবং গবাধী পশুতে ৮লাখ টাকা সহ প্রায় ২কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হয়। তবে সরকারি হিসেবে ২কোটি টাকার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়াও প্রবীণ সমাজ সেবকদের ধারনা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ)ডাঃ জহিরুল ইসলাম জানান,বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রামন থেকে সুরক্ষায় থাকতে বিভিন্ন সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় নেয়া মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ম্যাডিকেল টিম ছিল এবং আশ্রিতাদের মধ্যে স্যালাইন,পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট এবং সাবান বিতরন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. নাজমুল আলম জানান, অতীতের যে কোন ঝড় বা বন্যার চেয়ে আম্ফানের ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ছিল অনেক বেশি। আর এতে উপজেলা নি¤œাঞ্চল সহ বিভিন্ন স্থান পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরেই ক্ষতি হলেও এবারে কোন মানুষ বা প্রাণী হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বিরাজ করছে।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » মানুষকে রক্ষায় ডিজিটাল আইন, মুশতাকের মৃত্যু অনভিপ্রেত : তথ্যমন্ত্রী
- » এই মৃত্যু কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- » সাংবাদিক লিটনের রোগমুক্তি কামনায় বাংলাদেশ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের দোয়া মাহফিল অুনষ্ঠিত
- » বিশ্বের সেরা তিন রাষ্ট্রপ্রধানের একজন শেখ হাসিনা : সেতুমন্ত্রী
- » নোয়াখালীতে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পিবিআই
- » স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার উসকানি যারা দিচ্ছে, তারা জাতির শত্রু: আমু
- » কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে শেষ মুহুর্ত্বে এসে জমে উঠেছে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা
- » জামালপুরে শিক্ষকের কাছ থেকে চাঁদানেওয়ায়র মামলায় কলেজ অধ্যক্ষকের দুই বছরের কারাদণ্ড
- » সুন্দরগঞ্জে পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার-২
- » নোয়াখালীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ