ডেস্ক রিপোর্ট : নরেদ্র মোদির হাতে বারবার মুসলমানদের রক্তের দাগ লেগেছে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, স্বাধীনতার মাসে নরেদ্র মোদির উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।তিনি বলেন, মোদির প্রশ্রয়ে দিল্লিতে হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক উন্মাদনায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যা চালানো হয়েছে। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে স্বাধীনতার মাসে মুজিববর্ষে আমন্ত্রণ জানানো হলে একদিকে যেমন মুজিববর্ষকে কলঙ্কিত করা হবে, অন্যদিকে স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলণ্ঠিত করে গোটা জাতিকে অপমান করা হবে।চরমোনাইর পীর বলেন, স্বাধীনতার মাসে নরেদ্র মোদির উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না। আমরা তার আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই।বুধবার বিকালে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ভারতে মুসলিম নির্যাতন, গণহত্যা, পবিত্র মসজিদে অগ্নিসংযোগ এবং নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
সমাবেশ থেকে ভারতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবিতে আগামী ৬ মার্চ দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়।নগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, নগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইয়ুম প্রমুখ।বিক্ষোভ সমাবেশের পর একটি বিশাল মিছিল পুরানা পল্টন, পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর নাইটেংগেল পৌঁছলে পুলিশ মিছিলের গতিরোধ করে, কিন্তু তখনও জনতার স্রোত বায়তুল মোকাররম গেট ত্যাগ করেনি। এ সময় কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মুফতি রেজাউল করীম বলেন, আমরা মুজিববর্ষের বিরোধিতা করছি না। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, ব্যক্তি নরেদ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করছি।ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে মুসলমানদের নির্মূল করার অপচেষ্টা চলছে অভিযোগ করে চরমোনাই পীর আরও বলেন- সিএএ, এনআরসি এ সবের মূল উদ্দেশ্য ভারতকে মুসলিম শূন্য করা। বিজেপি ভারতকে দ্বিতীয় স্পেন বানাতে চায়। তাদের মনে রাখা উচিত, ইংরেজদের ২০০ বছরের সর্বগ্রাসী নির্যাতন সত্ত্বেও ভারত থেকে মুসলমানদের নির্মূল করা যায়নি। বরং তারাই বিতাড়িত হয়েছে।পীর সাহেব আরও বলেন, ইসলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধর্ম। দিল্লির এই উন্মোত্ততার মাঝেও মুসলমানরা হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছে। এর চেয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির আর কি হতে পারে!তিনি বলেন, আমাদের দেশের অনেক মন্ত্রী বলছেন, দিল্লির মুসলিম নিধন ঘটনা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তিনি বলেন, তাহলে ভারতে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে কেন? ভারতের কোনো সচেতন মানুষ মোদির সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না কেন? কাজেই মুসলিম হত্যাযজ্ঞকে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চালিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।পীর সাহেব চরমোনাই ভারতের মুসলিম নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিকারে জাতিসংঘ, ওআইসি ও মুসলিম বিশ্বসহ আন্তর্জাতিক মহলকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
Comments
Powered by Facebook Comments
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
- » চসিক নির্বাচন নিয়ে লালখানবাজারে সংঘর্ষে আহত ২১
- » সব কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ বিএনপি প্রার্থীর
- » অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহকারী কর কমিশনার বরখাস্ত
- » রামগঞ্জ পৌর নির্বাচনে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর!!
- » কালীগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির একক প্রার্থী মাহবুবার রহমান
- » মির্জা কাদেরের চিকিৎসা দরকার : এমপি একরাম
- » ঢাকা প্রেস ক্লাবের সাধারন সভা অনুষ্ঠিত
- » চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে : সেতুমন্ত্রী
- » ভারতের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধন আমাদের উন্নয়নে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
- » বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষা নেয় না বরং ভিক্ষা দেয় : আলহাজ্ব মির্জা আজম এমপি